যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিন সংগঠন

‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন জনবান্ধব সরকার আবারও চাই’

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুলাই ২৪, ২০২৩, ০৬:১৩ পিএম

‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন জনবান্ধব সরকার আবারও চাই’

ছবি: দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ

বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আবারও শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন জনবান্ধব সরকার দেখতে চায় বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। পাশাপাশি প্রযুক্তি সমৃদ্ধ যুব তারুণ্যের জয়গান দেখা, জনগণের জান-মাল নিরপত্তা নিশ্চিত দেখতে চায় এই তিন সংগঠন।

সোমবার (২৪ জুলাই)বিএনপি-জামাতের হত্যা, ষড়যন্ত্র ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের উদ্যোগে আগামী ২৭ জুলাই, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেইটে অনুষ্ঠিতব্য শান্তি সমাবেশ উপলক্ষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়,  সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা অক্ষুণ্ণ রাখার স্বার্থে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এই বাংলাদেশ অগ্নিসন্ত্রাস, অগ্নিসন্ত্রাসে আহত/নিহতদের পরিবার-পরিজনের আর্তনাদ-হাহাকারের পুনরাবৃত্তি আর দেখতে চায় না।

এতে আরও বলা হয়, ১৯৪৯ সালে জন্মের পর থেকেই আওয়ামী লীগ এই ভূখণ্ডের মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে ব্যপ্ত ছিলো। ভাষা আন্দোলন, শিক্ষা আন্দোলন, স্বাধিকার, স্বাধীনতা সংগ্রামে মূল ভূমিকা পালন করে আওয়ামী লীগ।

স্বাধীন বাংলাদেশে দেশ গঠনের কাজে নিয়োজিত হওয়ার মাঝে সাড়ে ৩ বছরের মাথায় আন্তর্জাতিক/দেশীয় ষড়যন্ত্রে সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী নেতৃবৃন্দকে নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের পর দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবার সুসংগঠিত আওয়ামী লীগ দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ছিলো যে সরকারের অন্যতম অর্জন।

২০০১ সালের নির্বাচনে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে আবারও পথ হারায় বাংলাদেশ উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০০১-২০০৬ সালে এই দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন, মানবাধিকার ক্ষুণ্ণ, কু-শাসনসহ নানা ধরণের দূর্বিপাকে আচ্ছন্ন ছিল এ- দেশ। ২০০৮ সালের নির্বাচনে দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে আসীন হওয়ার পর সার্বজনীন শিক্ষা, সামাজিক সুরক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার যে যাত্রা সেই যাত্রাকে বাধাগ্রস্থ করার জন্য ২০১৪ সালে নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনে অগ্নিসন্ত্রাসের মতো ভয়াবহ কর্মসূচি প্রণয়ন করে বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট। তখনো তারা সফলকাম হয় নাই।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এই বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন হবে, নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনে দেশবিরোধীচক্র, প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী আবারও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। অগ্নিহত্যার ড্রেস রিহার্সেল হিসাবে তারা ঢাকা শহরে অন্যতম বিদ্যাপীঠ বাংলা কলেজে সাধারণ শিক্ষার্থীর উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে জ্ঞানের আলো লাইব্রেরি ভাংচুরসহ ছাত্রীদের উপর হামলা ও শ্রীলতাহানী করে। যার ধারাবাহিকতায় বগুড়ায় একই দিনে ইয়াকুবিয়া বালিকা বিদ্যালয়ে হামলা করে শতাধিক ছাত্রীকে আহত করে। খাগড়াছড়ি ও লক্ষ্মীপুরে শান্তি সমাবেশে হামলা করে শতাধিক মানুষকে আহত করে।

এতে আরও বলা হয়, গত ২১ জুলাই যুবলীগের খুলনা বিভাগীয় "তারুণ্যের জয়যাত্রা" সমাবেশ শেষে বাড়ি ফেরার পথে নড়াইলের পেরুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আজাদ শেখকে ওৎপেতে থাকা বিএনপি-জামাতের সঙ্গবদ্ধ সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে হত্যা করে এবং একই দিনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের অন্তর্গত ১২ ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা শেখ ওয়ালিউল্লাহ রুবেলকেও নির্মমভাবে হত্যা করে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়,  বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আপনাদের জানাতে চাই, দেশের উন্নয়নবিরোধী যেকোন অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রামে যেকোন ত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ অক্ষুণ্ণ রাখার স্বার্থে আমরা দৃঢ় সংকল্প। এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা‍‍`র সরকারকে আরও দীর্ঘ করার জন্য আমরা যেকোন কর্মসূচি বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল,  স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ও ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

 

 

Link copied!